-
- অপরাধ, শিক্ষা, সারাদেশে
- পূর্ণানগর সঃ প্রাঃ বিদ্যালয়ের জমি আত্মসাতের পায়তারায় ইউএনও বরাবরে স্মারকলিপি
- আপডেট সময় August, 24, 2020, 12:12 pm
- 200 বার পড়া হয়েছে
আবু তালহা তোফায়েল,গোয়াইনঘাট (সিলেট) প্রতিনিধিঃ
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার (উপজেলা সদরে) আলীরগাঁও ইউনিয়নে অবস্থিত পূর্ণানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমি আত্মসাতের পায়তারা, সীমানা প্রাচীর নির্মাণে কৌশলে বিদ্যালয়ের জমি রাস্তার নামে নেয়া প্রসংগে পূর্ণানগর গ্রামবাসীর পক্ষে ২২ স্বাক্ষরবিশিষ্ট স্মারকলিপি প্রদান করা হয় গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নাজমুস সাকিব বরাবরে।
এতে গ্রামবাসী স্মারকলিপিতে উল্লেখ করে বলেন, আমাদের বৃহৎ এই গ্রামের জনসাধারণের শিশুদের লেখাপড়ার কথা বিবেচনা করে প্রায় ৩০ বছর পূর্বে গ্রামের ৩০ জন লোক ১.০০ (এক) একর যায়গা বিদ্যালয় প্রদান করে। কমিউনিটি বিদ্যালয় হিসেবে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম চলে। বর্তমান সরকারের শিক্ষাবান্ধব প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপে ২০১৩ সালের জানুয়ারি থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরিণত হয়েছে। সেই থেকে আজ পর্যন্ত বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি (এসএমসি)’র সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন আক্তারুজ্জামান। গ্রামবাসী তাকে দায়িত্ব দিয়ে বিদ্যালয়ের ভূমি রেকর্ড করে যাবতীয় কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়ার জন্য বলেন। কিন্তু বিদ্যালয়ের পশ্চিম সীমানায় তাহার বাড়ি হওয়ায়- পূর্ণানগর রাস্তা থেকে উত্তরগ্রাম রাস্তায় বিদ্যালয়ের ভূমি থেকে ৩০ ফুট প্রস্থে জমি নিতে বর্তমান সভাপতিগং উঠেপড়ে লেগেছেন। অথচ মাত্র ১০/১৫ ফুট বা তারও কম প্রস্থে রাস্তা নির্মাণ সম্ভব। রাস্তায় বিদ্যালয়ের এতো ভূমি নিয়ে নিলে ভবিষ্যতে বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ, শিশুদের বিনোদনসহ কার্যক্রম বিঘ্নিত হবে। বিদ্যালয়ের উত্তর পাশে বাড়ি রয়েছে আনোয়ার ও আম্বিয়া গংদের। তারা বিদ্যালয়ের উত্তর সীমানায় ০.৮ শতক ভূমি গায়ের জোরে দখল নিতে চাচ্ছে। তাদের কোনো রেকর্ড কিংবা মালিকানা অর্থাৎ কোনো প্রমাণ গ্রামবাসীকে দেখাতে পারে নাই; অথচ বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর করতে বা সীমানা নির্ধারণ করতে তারা বাঁধা প্রদান করেছে। ফলে যেকোনো মুহুর্তে আইন শৃঙ্খলা অবনতির আশংকা বিদ্যমান। আমরা গ্রামবাসী বিষয়টি নিষ্পত্তির চেষ্টা করেছি। বিদ্যালয়ের দলিলকৃত ভূমি রক্ষার জন্য কিন্তু কিছু স্বার্থান্বেষী ব্যক্তিবর্গের কারণে সমাধান হচ্ছে না বরং আইনশৃঙ্খলা অবনতির আশংকা বাড়িয়ে দিচ্ছে।
তাই গ্রামবাসী- বিষয়টি জরুরী ভিত্তিতে তদন্তপূর্বক বিদ্যালয়ের পশ্চিম ও উত্তরের সীমানা নির্ধারণ করে প্রাচীর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হস্তক্ষেপ বিনীতভাবে কামনা করেন।
সাথে সাথে গ্রামবাসী প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, জেলা প্রশাসক সিলেট, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহা পরিচালক, সিলেট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও গোয়াইনঘাট উপজেলা শিক্ষা অফিসারের সদয় অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুলিপি প্রদান করেন।
স্মারকলিপিতে গ্রামবাসীর পক্ষে ইসলাম উদ্দিন, নুরুল আমিন, আব্দুল মতিন, আব্দুল গফফার, মোঃ লুৎফুর রহমানসহ ২২ জনের স্বাক্ষর রয়েছে।
প্রাইভেট ডিটেকটিভ/২৪ আগষ্ট ২০২০/ইকবাল
এ জাতীয় আরো খবর